আনোয়ারা বেগমের জীবনের গল্প

আনোয়ারা বেগমের জীবনের গল্প

আনোয়ারা বেগম জন্মগতভাবে কিছুটা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ছিলেন। খুব ছোটবেলা থেকেই এখানে-সেখানে নিদারুণ অবহেলায় বড় হয়েছেন। প্রথম দেখাতে মনে হয় খুব চুপচাপ, শান্ত, হাসিখুশি এই মানুষটি। কিন্তু তাঁর সাথে কথা বলা শুরু করলে বোঝা যায় তিনি কতটা মানসিকভাবে অপ্রকৃতস্থ। আপনমনে তিনি কথা বলা শুরু করেন, কিন্তু এক প্রশ্ন দ্বিতীয়বার করলে তিনি মানসিক ভারসম্য হারান। গালমন্দ করতে থাকেন যথেচ্ছভাবে। ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসেন এক পর্যায়ে, শরীরের সর্ব শক্তি দিয়ে মারতে থাকেন প্রশ্নকর্তাকে। জীবনের এক পর্যায়ে নিদারুণ সময় পার করতে হয়েছে আনোয়ারা মাকে। প্রশ্নের উত্তর না পেলে বেধড়ক ভাবে মারা হত তাঁকে। পাঁজরের ওপর হাটু গেড়ে চেপে ধরে মেঝের ওপর পিষে ফেলা হত পাশবিক উল্লাশে। শরীরে অসহনীয় ব্যথা সহ্য করতে করতে একসময় মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ হতে শুরু করেন আনোয়ারা বেগম। এমন অবস্থায় তাঁকে ফেলে দেয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনের রাস্তায়। আমাদের আপন ভুবনের এক সদস্য তাঁকে আপন ভুবনে নিয়ে আসেন।

এমনই অসহায়, আশ্রয়হীন, পরিবার বঞ্চিত মায়েদের নিরলসভাবে সেবা করে যাচ্ছে আপন ভুবন। মায়েদের জন্য তিনবেলা খাবারসহ সকাল ও বিকালের নাস্তা দেওয়া হয়। মনোরম পরিবেশে থাকাসহ বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, অসুস্থ হলে মায়েদের দ্রুত ডাক্তার দেখানোর ব্যবস্থা আছে। অসহায়, আশ্রয়হীন মায়েদের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা, রাব্বুল আলামীন আমাদের কবুল করুন।

অসহায়, আশ্রয়হীন মায়েদের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা, রাব্বুল আলামীন আমাদের কবুল করুক।